বর্ধমান টিভির দুই প্রতিনিধি র উদ‍্যোগে ভিন রাজ‍্যের হারিয়ে যাওয়া যুবককে ফিরে পেল পরিবার

19th January 2021 10:02 am বর্ধমান
বর্ধমান টিভির দুই প্রতিনিধি র উদ‍্যোগে ভিন রাজ‍্যের হারিয়ে যাওয়া যুবককে ফিরে পেল পরিবার


নিজস্ব সংবাদদাতা ( ভাতার ) :  সংবাদ সংগ্রহ করা সাংবাদিকের কাজ সকলেই সেটাই জেনে থাকেন।
তার পাশাপাশি নানান সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যে সাংবাদিকরা যুক্ত থাকে তা আবারো প্রমাণ হলো।বর্ধমান টিভি 'র  প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম ও বর্ধমান টিভি'র ত্রিপুরার প্রতিনিধি ভানুময়  চন্দ্ ও উত্তম সিনহা তৎপরতায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক ফিরে পেল তার পরিবারকে। জানা যায় মনোরোগী ছেলেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসেন মা। ফেরার পথে শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ত্রিপুরার বাসিন্দা ২৪ বছরের ওই তরুণ। একমাস পর ত্রিপুরার বাসিন্দা মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ সুব্রত সিনহাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার এর আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা  আমিরুল ইসলাম।  রাস্তা থেকে উদ্ধারের পর দুদিন ধরে আমাদের সংবাদদাতা আমিরুল ইসলামের পরিবার  যত্ন সহকারে সুব্রতকে বাড়িতে রেখে দেয়।  গাড়ি ভাড়া করে বর্ধমান শহরে গিয়ে সূব্রতর পরিবারের হাতে তাকে তুলে দিয়ে এলেন তারা। হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে প্রচণ্ড খুশি ত্রিপুরার ওই পরিবার। আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি শনিবার বাড়ি ফেরার পথে আলিনগর মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে বসে থাকতে দেখেন এক অচেনা যুবককে।মানসিক ভারসাম্যহীন বুঝতে পেরে যুবকটির কাছে গিয়ে প্রথমে তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করেন আমিরুল। আমিরুল ইসলাম বলেন, " যুবকটি মাঝেমধ্যে সঠিক কথা বলছিল। মাঝে মধ্যে পাগলামি করতে থাকে। নিজের হাতে ইংরেজি অক্ষরে তার নাম ঠিকানা লেখে।যদিও ঠিকানা অসম্পূর্ণ ছিল।তখন গুগুল সার্চ করে অনুমান করতে পারি বাংলাভাষী হলেও যুবকটির বাড়ি ত্রিপুরায়।" জানা যায় ত্রিপুরার বীরচন্দ্রনগর এলাকার ওই যুবকের বাড়ি বুঝতে পেরে ত্রিপুরার বর্ধমান টিভি র   কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন আমিরুল ইসলাম। তারপর ওই রাজ্যের উত্তম সিনহা নামে এক সাংবাদিক শনিবার রাতে ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে নিখোঁজ যুবক সুব্রতর মা শান্তিদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।তখন বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে শান্তিদেবী তার একমাত্র ছেলে সুব্রতকে কলকাতায় এক মনরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে নিয়ে এসেছিলেন।ফেরার সময় গত ১৪ ডিসেম্বর শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সুব্রত। রেলপুলিশের কাছে নিখোঁজ ডাইরিও করা হয়েছিল। কিন্তু সুব্রতর হদিশ পায়নি তার পরিবার।  সংবাদদাতা আমিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ হলে ছেলের হদিশ মেলে। এদিন ত্রিপুরা থেকে সুব্রতর জামাইবাবু অঞ্জন সিনহা এবং তুতো দাদা পরিমল সিনহা নিতে আসেন সুব্রতকে। সুব্রতর পরিবারের লোকজন কেবলমাত্র আমিরুল ইসলাম কে নয় ত্রিপুরার
সাংবাদিকদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ফের আবারো প্রমাণ হলো সাংবাদিকরা কেবলমাত্র খবর সংগ্রহ করে না, সমাজের নানান কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে। 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।